Social Icons

.
Share with friends

Friday, October 18, 2013

আমার বয়স তখন চৌদ্দ



আমার বয়স তখন চৌদ্দ-পনেরো হবে দেহসৌষ্ঠবের সব কিছু আমার তখনো অজ্ঞাত আমরা ঢাকা শহরে থাকি আর লম্বা ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই
 একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গেলাম গ্রামের বাড়ির হাওয়া খেতে গ্রামে আমার বয়সী মামাতো ভাই-বোন আছে গ্রামের টিনের ঘরগুলোর এককেই ঘরে দুটি বা তিনটি পর্যন্ত খাট বিছিয়ে ঘুমানো হয় আমি শহর থেকে গেছি বলে আমার জন্য একটু আলাদা সস্মান আমাকে এক খাটে একাই ঘুমাতে দেয়া হলো আর বিছানা গোছগাছ করে আমাকে ঘুমাতে দিয়ে গেল আমার মামাতো বোন গুপ্তাসে ঘুমালো পাশের খাটে আমার মামাতো বোনের সঙ্গে বয়সে গুপ্তা আমার চেয়ে দু-তিন বছরের বড় তার বয়স তখন ষোল কি সতেরো হবে শীতের রাতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালেও টিনের চালার ঘরে একটু শীত শীত করছিল হঠাৎ গভীর রাতে আমাকে জাপটে ধরে একটি বলিষ্ঠ দেহ ফিশ ফিশ করে বলে উঠলো শীত করছে ?

 আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে কম্বলের মধ্যে ঢুকে আমাকে সজোরে জাপটে ধরে বললো! ’! চুপ আমিগুপ্তাতোমার শীত দূর করবো তুমি ঘুমাও

 আমার কেমন জানি ভয় করছিল তার শরীরটা তখন অনেক গরম তবে এভাবে কোনো মেয়ে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলে কি করতে হয় সেটা আমার জানা ছিল না সে কানে কানে বললোনৈাকা চালাবে মাঝি ? বললাম আমি নৈাকা চালাতে জানিনা

 গুপ্তা বললো, আমি শিখিয়ে দেবো, তুমি শুধু শক্ত হাতে বৈঠা মারবে

 ইতিমধ্যে আমার ঠোট দুটি সে কামড়ে ধরেছে আমার ইচ্ছা হচ্ছিল জোরে চিৎকার দিই, কিন্তু শরীরে কি যেন এক আবেশ খেলে যাচ্ছিল আমার শরীর ভয়ে কাঁপছিল এরপর গুপ্তা বললো এইতো ভালো ছেলে, এবার মাঝি তোমার বৈঠা বাও আমি বোবার মতো নিথর আমাকে নিচে রেখে বিশাল পুরুষ্ট গুপ্তার দেহটা কেবল কাপছে চার-পাচ মিনিট পর বৃষ্টি নামলো নৌকা চলা হলো এবার সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে নরম দুটি ঠোট দিয়ে আমার নাকে একটা চুমু দিয়ে বললো, বড় অদক্ষ মাঝি তুমি আরো শক্ত হাতে বৈঠা চালাতে হয় ? ঘুমাও এরপর গুপ্তা চলে গেল পাশের খাটে আমি অনেক কষ্ট করে বুঝলাম আজকের নৌকা বাইচ আসলে কল্পনা নয়, বাস্তব

 পরের দিন নদীর ঘাটে গোসল করতে গিয়ে সবাই মিলে যখন পানিতে নেমে হৈ-হুল্লোড় করছিলাম তখন গুপ্তার দিকে তাকিয়ে বারবার আমার শরীর গরম হয়ে উঠছিল ভেজা কাপড়ের সঙ্গে লেগে থাকা তার সুডোল দুটি ন্তন যেন বারবার আমাকে দোলা দিয়ে ডাকছিল যাই হোক, সেবার দুদিন থেকে আবার শহরে ফিরে এলাম কিন্তু আমার মনের মধ্যে বয়ে নিয়ে এলাম গুপ্তাকে

 দুই বছর পর এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে আবার গেলাম গ্রামের বাড়িতে মনের মধ্যে গুপ্তাকে দুই বছরে নানাভাবে উল্টেপাল্টে দেখেছি ভেবেছি, ওতো আমার চেয়ে বয়সে তিন বছরের বড় তাই নিজেকে সান্তনা দিয়েছি বড়দের নিয়ে এমন ভাবতে নেই সেদিন মামার বাড়িতে মেহমান আসায় রাতে শোবার জায়গা নিয়ে কিছুটা ঝামেলা দেখা দিল গুপ্তা দেখি আগ বাড়িয়ে এসে মামিকে বলে ম্যানেজ করলো যে ওদের ঘর ফাকা পড়ে আছে তাই আমি গুপ্তাদের একটা ঘরে আরামে ঘুমাতে বললো

 বিছানায় শুয়ে আছি একটা ঘরে আমি একা এক খাটে পাশের ঘর থেকে গুপ্তার গলার আওয়াজ পেয়ে আমার মনে নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে প্রচন্ড গরম পড়েছিল তাই গেঞ্জি গায়ে লুঙ্গি পরে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না হঠাৎ ঘুম ভাঙল, আবার সেই ফিশফিশ আওয়াজ রাজা, আমি তোমার রানী, কাছে এসো্ আমি বললাম, দেখো গুপ্তা তুমি আমার চেয়ে বয়সে বড়, তোমার সঙ্গে এসব করা কি ঠিক ? সে কোনো কথায় কান না দিয়ে ইতিমধ্যে আমার পরনের লুঙ্গি খুলে ফেলেছে ডিমলাইটের আলোয় গুপ্তার সুপ্ত সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছে সে বললো,দরজার ছিটকিনি আটকিয়ে দিয়েছি, বাড়িতে ছোট বোন আর মা ছাড়া কেউই নেই ওরা ঘুমাচ্ছে, আজকের রাতে রাজা তুমি আমার সব জ্বালা দুর করো


 আমিও এবার দক্ষ মাঝির মতো হাল ধরলাম বললাম রানী এবার মাঝি কিন্তু অনেক অভিজ্ঞ, বৈঠার আঘাত সইতে পারবে তো, সামলে থেকো নইলে নৌকা চৌচির হয়ে যাবে

 এক সময় নৌকা থেকে বৃষ্টি নামলো আশপাশের সব ভিজিয়ে নিয়ে গেল মধুর বৃষ্টিতে ভিজে শালকাঠের বৈঠাটা ছোট হয়ে নেতিয়ে পড়লো এভাবে আমরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম ভোর পযর্ন্ত

 ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো, আমার নিজের কাপড় পরে নিলাম তখোন রাতের আধার কাটেনি গুপ্তা চলে গেল পাশের ঘরে আমি ঘন্টাখানেক পর নদী থেকে গোসল সেরে নিলাম রাতটি ছিল আমার জীবনের এক সেরা রাত

 এখন আমি পাড়ি জমিয়েছি বিদেশে অস্ট্রেলিয়ায় আমি পড়াশোনা করি ঢাকা থেকে বাবা-মা এখানো মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান আমার মন থেকে এখনো মুছে যায়নি গুপ্তা তুমি আমার মনে গুপ্ত থাকবে আজীবন

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...